।। রামের শঙ্খ।।

গরিব চাষা বেচারার বড় দুরবস্থা। সেবার তার খেতের শস্য এতই কম হয়েছে যে তার দুবেলা পেট ভরে খাওয়াই জোটে না। তার ভাঙা কুঁড়ের পাশেই এক দুষ্টু লোকের বাড়ি; সে অনেক গরিব লোককে ফাঁকি দিয়ে দেদার টাকা আর মস্ত দালান করেছে।
🕸️চাষা সেই লোকটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল; “কি করে টাকা জমায় বলতে পার কি?” দুষ্টু লোকটা ভালোমানুষের মতো মুখ করে বলল, “রাম-নাম জপ কর টাকা তিনিই দেবেন।”
🕸️চাষা বেচারা ভালো মানুষ, সে তো তখন থেকে কেবলই দিন রাত “রাম-রাম-রাম-রাম” বলে। কিন্তু টাকা আর আসে না। শেষটায় ঘরে আর এক মুঠোও চাল রইল না। তখন বেচারা বড়ই মুশকিলে পড়ল। না খেয়ে খেয়ে তার গলার জোর চলে গেছে—রাম-নাম করতে পারে না। অথচ টাকা না হলেও চলে না—রাম-নাম ছাড়বারও জো নেই। বেচারা চিঁ চিঁ ক’রে নাম জপ করছে এমন সময় একজন রোগা টিংটিঙে লোক এসে একটা শঙ্খ দিয়ে চাষাকে বলল, “এই শঙ্খটা নাও। দশবার রাম-নাম করে পুব মুখো হয়ে এই শঙ্খে তিনবার ফুঁ দিয়ে যা চাইবে তাই পাবে।” এই বলেই সে চলে গেল।
🕸️চাষা তো তখনই দশবার রাম-নাম করে পুবমুখো হয়ে শঙ্খে তিনবার ফুঁ দিয়েই বলল, “পোলাও, মাংস, তরকারি, পায়েস, মিঠাই এই-সব চাই।”—অমনি থালা ভরা সুন্দর সুন্দর খাবার এসে হাজির!—বেচারা তখন পেট ভরে খেয়ে বাঁচল। তার পরের দিন যখন সেই দুষ্টু লোকটার সঙ্গে চাষার দেখা হ’ল, তখন সে চাষাকে জিজ্ঞাসা করল, “কি…