।। ঠুকে মারি আর মুখে মারি।।

মুখে-মারি পালোয়ানের বেজায় নাম—তার মতো পালোয়ান নাকি আর নাই। ঠুকে-মারি সত্যিকারের মস্ত পালোয়ান, মুখে-মারির নাম শুনে সে হিংসায় আর বাঁচে না। শেষে একদিন ঠুকে-মারি আর থাকতে না পেরে, কম্বলে নব্বুই মণ আটা বেঁধে নিয়ে, সেই কম্বল কাঁধে ফেলে মুখে মারির বাড়ি রওয়ানা হলো।
🕸️পথে এক জায়গায় বড্ড পিপাসা তার খিদে পাওয়ায় ঠুকে-মারি কম্বলটা কাঁধ থেকে নামিয়ে একটা ডোবার ধারে বিশ্রাম করতে বসল। তারপর চোঁ-চোঁ করে এক বিষম লম্বা চুমুক দিয়ে ডোবার অর্ধেক জল খেয়ে বাকি অর্ধেকটায় সেই আটা মেখে নিয়ে সেটাও সে খেয়ে ফেলল। শেষে মাটিতে শুয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুম দিল।
🕸️সেই ডোবাতে একটা হাতি রোজ জল খেতে আসত! সেদিনও সে জল খেতে এল; কিন্তু ডোবা খালি দেখে তার ভারি রাগ হলো। পাশেই একটা মানুষ শুয়ে আছে দেখে সে তার মাথায় দিল গোদা পায়ের এক লাথি। ঠুকে-মারি বলল, “ওরে, মাথা টিপেই দিবি যদি, একটু ভালো করে দেনা বাপু!” হাতির তখন আরো বেশি রাগ হল। সে শুঁড়ে করে ঠুকে-মারিকে তুলে আছাড় মারতে চেয়েছিল, কিন্তু তার আগেই ঠুকে-মারি তড়াক করে লাফিয়ে উঠে হাতিমশাইকে থলের মধ্যে পুরে রওয়ানা হ’ল।
🕸️খানিক দূরে গিয়ে সে মুখে-মারির বাড়িতে এসে হাজির হ’ল আর বাইরে থেকে চেঁচাতে লাগল, “কই হে মুখে-মারি। ভারি নাকি পালোয়ান তুমি! সাহস থাকে তো লড় না এসে!” শুনে মুখে-মারি তাড়াতাড়ি বাড়ির পিছনে এক জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ল। মুখে মারির বৌ বলল, “কর্তা আজ বাড়ি নেই। কোথায় যেন পাহাড় ঠেলতে গিয়েছেন।” ঠুকে-মারি বলল, “এটা তাকে দিয়ে ব’লো যে এই মালিক তার সঙ্গে লড়তে চায়।” এই বলে সে হাতিটাকে ছুঁড়ে তাদের উঠানে ফেলে দিল।…