।। দ্রিঘাংচু।।

এক ছিল রাজা।
🕸️রাজা একদিন সভায় বসেছেন—চারিদিকে তাঁর পাত্র-মিত্র আমির ওমরা সিপাই শান্ত্রী গিজ গিজ করছে—এমন সময় কোথা থেকে একটা দাঁড়কাক উড়ে এসে সিংহাসনের ডান দিকে উঁচু থামের ওপর বসে ঘাড় নিচু ক’রে চারিদিক তাকিয়ে, অত্যন্ত গম্ভীর গলায় বলল,“কঃ”।
🕸️কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ এরকম গম্ভীর শব্দ—সভাসুদ্ধ সকলের চোখ এক সঙ্গে গোল হয়ে উঠল—সকলে একেবারে এক সঙ্গে হাঁ করে রইল। মন্ত্রী এক তাড়া কাগজ নিয়ে কি যেন বোঝাতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ বক্তৃতার খেই হারিয়ে তিনি বোকার মতো তাকিয়ে রইলেন। দরজার কাছে একটা ছেলে বসেছিল, সে হঠাৎ ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠল, যে লোকটা চামর দোলাচ্ছিল, চামরটা তার হাত থেকে ঠাঁই করে রাজার মাথার ওপর পড়ে গেল। রাজামশায়ের চোখ ঘুমে ঢুলে এসেছিল, তিনি হঠাৎ জেগে উঠেই বললেন, “জল্লাদ ডাক।”
🕸️বলতেই জল্লাদ এসে হাজির। রাজামশাই বললেন, “মাথা কেটে ফেল।” সর্বনাশ! কার মাথা কাটতে বলে; সকলে ভয়ে ভয়ে নিজের মাথায় হাত বুলাতে লাগল। রাজামশায় খানিকক্ষণ ঝিমিয়ে আবার তাকিয়ে বললেন, “কই মাথা কই?” জল্লাদ বেচারা হাত জোড় করে বলল, “আজ্ঞে মহারাজ, কার মাথা?” রাজা বললেন, “বেটা গোমুখ্যু কোথাকার, কার মাথা কিরে! যে ঐরকম বিটকেল শব্দ করেছিল, তার মাথা।” শুনে সভাসুদ্ধ সকলে হাঁফ ছেড়ে এমন ভয়ানক নিশ্বাস ফেলল যে, কাকটা হঠাৎ…