।। বুদ্ধিমানের সাজা।।

আলি শাকালের মতো ওস্তাদ আর ধূর্ত নাপিত সে সময়ে মেলাই ভার ছিল। বাগদাদের যত বড়লোক তাকে দিয়ে খেউরি করাতেন, গরিবকে সে গ্রাহ্যই করত না।
🕸️একদিন এক গরিব কাঠুরে ঐ নাপিতের কাছে গাধা বোঝাই করে কাঠ বিক্রী করতে এল। আলি শাকাল কাঠুরেকে বলল, “তোমার গাধার পিঠে যত কাঠ আছে সব আমাকে দাও; তোমাকে এক টাকা দেব।” কাঠুরে তাতেই রাজি হয়ে গাধার পিঠের কাঠ নামিয়ে দিল। তখন নাপিত বলল, “সব কাঠ তো দাও নি; গাধার পিঠের ‘গদি’টা কাঠের তৈরি; ওটাও দিতে হবে।” কাঠুরে তো কিছুতেই রাজি হলো না; কিন্তু নাপিত তার আপত্তি গ্রাহ্য না করে গদিটা জবরদস্তি করে কেড়ে নিয়ে, কাঠুরেকে এক টাকা দিয়ে বিদায় করে দিল।
🕸️কাঠুরে বেচারা আর কি করে? সে গিয়ে খালিফের কাছে তার নালিশ জানাল। খালিফ বললেন, “তুমি তো ‘গাধার পিঠের সমস্ত কাঠ’ দিতে রাজি ছিলে; তবে আর এখন আপত্তি করছ কেন? কথামতই তো কাজ হয়েছে।” তারপর কাঠুরের কানে ফিস্ ফিস্ করে কি জানি বললেন; কাঠুরে মুচ্কি হেসে, “যো হুকুম” বলে সেলাম ঠুকে চলে গেল।
🕸️কিছুদিন বাদে কাঠুরে আবার নাপিতের কাছে এসে বলল, “নাপিতসাহেব, আমি আর আমার সঙ্গীকে খেউরি করার জন্য দশ টাকা দেব, তোমার মতো ওস্তাদের হাতে অনেক বেশি টাকা দিয়ে খেউড়ি হতে পারলে জন্ম সার্থক হয়। তুমি কি রাজি আছ?” নাপিত তো খোসামোদে ভুলে, কাঠুরেকে চটপট কামিয়ে দিল; তারপর তাকে বলল,…