।। নাপিত পণ্ডিত।।

বাগদাদ শহরে এক ধনীর ছেলে প্রতিজ্ঞা করিয়া বসিল, সে কাজির মেয়েকে বিবাহ করিবে। কিন্তু প্রতিজ্ঞা করা যত সহজ, কাজটা তত সহজ নয়। সুতরাং কিছুদিন চেষ্টা করিয়াই সে বেচারা একেবারে হতাশ হইয়া পড়িল। দিনে আহার নাই, রাত্রে নিদ্রা নাই—তার কেবলই ঐ এক চিন্তা—কি করিয়া কাজির মেয়েকে বিবাহ করা যায়।
🕸️বিবাহের সব চাইতে বড় বাধা কাজিসাহেব স্বয়ং। সকলেই বলে, “বাপু হে! কাজিসাহেব এ স্পর্ধার কথা জানতে পারলে তোমার একটি হাড় আস্ত রাখবেন না।” বেচারা কী করে? ক্রমাগত ভাবিয়া-চিন্তিয়া সে রীতিমত জ্বর আনিয়া ফেলিল—বন্ধু-বান্ধব বলিতে লাগিল, “ছোকরা বাঁচলে হয়।” ইহার মধ্যে হঠাৎ একদিন এক বুড়ি আসিয়া খবর দিল, বিবাহের সমস্তই ঠিক। কাজিসাহেবকে না জানাইয়াই এখন চুপচাপ বিবাহটা হইয়া যাক—তারপর সুবিধামত তাঁহাকে খবর দেওয়া যাইবে; তখন তিনি গোল করিয়া করিবেন কি? সে আরো বলিল, “শুক্রবার সন্ধ্যার সময় কাজিসাহেব বাড়ি থাকবেন না—সেই সময় বিয়েটা সেরে ফেল কিন্তু খবরদার! কাজিসাহেব যেন এ-সব কথার বিন্দুমাত্র জানতে না পারেন।”
🕸️শুক্রবার দিন ভোর না হইতে বর বেচারা হাত-মুখ ধুইয়া প্রস্তুত, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাহার আর সবুর সয় না। দুপুর না হইতেই সে চাকরকে বলিল, “একটা নাপিত ডেকে আন্। এখন থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকি।” চাকর তাড়াতাড়ি কোথা হইতে এক নাপিত আনিয়া হাজির করিল।
🕸️নাপিত আসিয়াই বরকে বলিল, “আপনাকে বড় কাহিল দেখছি—যদি অনুমতি করেন তো ছুরি দিয়ে বাঁ হাতের একটুখানি রক্ত ছাড়িয়ে দেই—তা হলেই সমস্ত শরীরটা…