অবুঝ
(সুকুমার রায়)
চুপ করে থাক্, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভালো না,
এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা।
দেখ্ তো দেখি আজও আমার মনের তেজটি নেভে নি-
এইবার শোন্ বল্ছি এখন–কি বলছিলেম ভেবেনি।
বলছিলাম কি, আমি একটা বই লিখেছি কবিতার
উঁচুরকম পদ্যে লেখা আগা গোড়াই সবই তার।
তাইতে আছে “দশমুখে চায়, হজম করে দশোধর,
শ্মশানঘাটে শষ্পানি খায় শশব্যস্ত শশধর।”
এই কথাটার অর্থ যে কি, ভাবছে না কেউ মোটেও–
বুঝ্ছে না কেউ লাভ হবে কি, অর্থ যদি জোটেও।
এরই মধ্যে হাই তুলিস্ যে? পুঁতে ফেল্ব এখনি,
ঘুঘু দেখেই নাচ্তে শুরু, ফাঁদ তো বাবা দেখ নি!
কি বললি তুই? সাতান্নবার শুনেছিস্ ঐ কথাটা?
এখন মিথ্যে কইতে পারিস্ লক্ষ্মীছাড়া বখাটা!
আমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধ্যি নেই কো পেরোবার
হিসেব দেব, বলছি এই চোদ্দোবার কি তেরোবার।
সাতান্ন তুই গুনতে পারিস্? মিথ্যাবাদী! গুনে যা–
ও শ্যামলাল! পালাস্ কেন? রাগ করিনি, শুনে যা।
।। সমাপ্তি।।